কুটুম বাড়ি

 



সময়টা ছিলো নভেম্বর মাস শীতকাল।চারদিকে শীতের হাওয়া বইছে আর ঘন কুয়াশা। ঘর থেকে বেরিয়ে পরলাম ফুফু বাড়ি যাওয়া জন্য  কিছু টা দূর এগিয়ে গেলাম কিছু ই চোখে দেখা যাচ্ছে না কারন কুয়াশা ছিলো। কনকনে শীত সূর্যের আলো দেখাচ্ছে না। এমন ছিলো পরিবেশ। আর একটু এগিয়ে দেখি এক বদ্ধ লোক। বয়স প্রায় ৬৫ কাছাকাছি। লোকটি রাস্তা পাশে বসে আছে। গায়ে শুধু একটা গেঞ্জি আর পরনে ছিলো একটা লুঙ্গি। শীতে কাপতে ছিলো। আমি হঠাৎ করে দেখেই আমার গায়ের চাদর তার গায়ে জরিয়ে দিয়ে তার গায়ে যেনো বাতাস না লাগে সে দিকে বসলাম। কিছুখন পরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম। 

আপনি এই রাস্তা পাশে কেনো এতো শীতে। এখানে আসলে কি ভাবে। এই কথা বলতে ই লোকটি চোখে পানি ছেড়ে দিলো। 

আমার দিকে তাকিয়ে লোকটি বলতে লাগলো।আমার বউ গত ১৫ দিন হয় মারা গেছে। এই পৃথিবীতে আমার একটি বোন ছাড়া আর কেউ নাই। আমি বাড়িতে একা থাকতে ভয় লাগে তাই আমার বোনের বাড়িতে রওয়ানা হয়েছিলাম সকালে। 

আজকে অনেক শীত ও কুয়াশা  পরছে যে কারনে আমি এখানে এসে আর সামনে দিকে যেতে পারছি না। তুমি না আসলে আমার হতবা আর বোনের বাড়িতে যাওয়া হতো না। মারাই যেতাম। 

লোকটি এই কথাগুলো শুনে আমার এতোটা খারাপ লেগেছে যা বলে বুঝাতে পারবো না। একটা মানুষ কতটা অসহায়। 

তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার বোনের বাড়ি কোথায় যেতে কত সময় লাগবে। 

লোকটা কথা বলতে পারছিলো না। অনেক অসুস্থ। কিছু খন পরে বল্লো এক গ্রাম পরে। 

আমি যেহেতু এই গ্রামে এই প্রথম আসা আমার ফুফুর বাড়িতে। তাই আমি কিছু ভালো ভাবে যানা নেই পথ সম্পর্কে। 

যাই হোক তাকে এভাবে রেখে যাওয়া ঠিক হবে না। তাকে তার বোনের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। 

কিছুটা সময় যাওয়া পর তাকে নিয়ে হাটা শুরু করালাম। লোকটি অনেক টা পথ যাওয়া পর আর হাটতে পারে না। আবার কিছু সময় রাস্তা বসে থাকলাম তাকে নিয়ে। এভাবে তার বোনের বাড়িতে পৌঁছাতে ৫ ঘন্টা সময় লাগলো প্রায় সন্ধ্যা কাছাকাছি। তার বোন তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লো। তাকে নিয়ে ঘরে গেলো এবং তাকে আগুনের তাফ দিতে বল্লাম। তার হলে সে তারাতাড়ি সুস্থ হবে। এই বলে আমি তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমার ফুফুর বাড়ি উদ্দেশ্য রওনা হলাম। 

আমার জীবনের একটি ছোট গল্প তুলে দরলাম। আসা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

আল্লাহ হাফেজ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url