তুমি আসবে বলে
দিন যায় রাত আসে, রাতের পরে আবার দিন আসে কিন্তুু তুমি আসবে বলে আসলে না। আমি এক বুক ভালোবাসা নিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করলাম তুমি আসবে তাই।
বলছিলাম একটি গল্পের কিছু ভাব কথা।গল্পটা শুনলে বুকটা চিনচিন করবে মনে পরে যাবে সেই যৌবনের স্মৃতিগুলি। চলুন গল্প টি শুনে আসি।
শুধু মাঠ আর মাঠ চারিদিকে তাকালে মনে হবে কোনো মরুভূমি তে আছি। প্রচন্ড রৌদ্র একটি ছেলে কতগুলো ছাগল নিয়ে একটি তাঁবু টানিয়ে বসে আছে। আর কিছুক্ষণের ভিতরে সন্ধাগণ নিয়ে আসবে। তাই বালকটি তার ছাগলগুলো নিয়ে বাড়ি দিকে রওয়ানা হলো।
এটাই হলো বালকটি কাজ। তার মালিক তাকে ছাগলে দেখা শোনার দায়িত্ব দিয়েছে। বালকটি ছিলো সত্যবাদী ও সুন্দার চেহারার অধিকারী। তার বয়স হবে ১২ কি ১৩ বছর।
হঠাৎ একদিন সায়েম (বালক) নাম অনেক অসুস্থ হলো তার দেখাশোনা করার মত কেউ ছিলো না পাশে।এ দিক তার মালিক তার খোজ করছিলো। সায়েম কই গেলো এখন ছাগল নিয়ে মাঠে গেলো না। এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর সায়েম ঘরে গিয়ে দেখলো সে অনেক অসুস্থ। তার সেবা করার কেউ নাই। তার মালিক তখন তার ঘরের কাজে লোককে তার সেবার করার দায়িত্ব দিলো।
এভাবে দুইদিন যাওয়ার পর দুপুরে খাবারের জন্য মালিকে কাজে লোকটি বাড়িতে ছিলো না। তখন মালিক তার মেয়ে কে দিয়ে বালকটি জন্য খাবার পাঠানো।
মালিকের মেয়ে বয়স ১০ বছর চলছে। দেখতে শুনতে সুন্দরী ছিলো। কিন্তু সে বাহিরের বের হতো না। তাকে কেউ দেখতে পেতো না নাম ছিলো প্রিয়া।
মালিক তার মেয়ে দিয়ে খাবার পাঠালো। বালকটি কিছু টা সুস্থ হয়েছিলো।
বাহির থেকে মেয়ে ডাকতে ছে। ঘরে কেউ আছেন আপনার খাবার নিয়ে এসেছি।এই কথা শুনে বালক টি বল্লো ভিতরে আসেন। মেয়ে টি তখন ভিতরে আসলো সায়েম তাকে দেখে বল্লো কে আপনি আগে তো দেখি নি খালা কোথায় মেয়েটি বল্লো খালা আজকে আসে নাই। বালক বল্লো আপনি কে। মেয়ে টি তখন মুচকি হাসি দিয়ে বল্লো আমি আপনার মালিকের মেয়ে। এই কথা বলে সে ঘরে ফিরে গেলো।
পরের দিন সায়েম খুব সকালে উঠে ছাগল নিয়ে মাঠে বেরিয়ে গেলো।সারাদিন মাঠে থেকে যখন বাড়িতে আসলো তখন তার খুব পানির পিপাসা দরছে।তখন ছাগল গুলোকে ঘরে রেখে পানি খাওয়ার জন্য মালিকে ঘর গিয়ে পানি চাইলো। হাতে পানির গ্লাস নিয়ে প্রিয়া সায়েমের দিকে এগিয়ে এলো।
এই নেন পানি সাথে মায় পিঠা দিছে খাবার জন্য।
এক দিন দুইদিন এভাবে মেয়েটি তার সামনে আসতে শুরু করে।আর ধিরে ধিরে ছেলেরটি তাকে ভালোবাসতে শুরু করে। কিন্তু এটা কি সম্ভব? কোথায় মেয়েটি অবস্থা আর কোথায় ছেলেটি।
প্রিয়া একদিন তার বাবার কাছে গ্রাম গুরতে যাবে বলে বল্লো। কিন্তু তাট বাবা তাকে একা যেতে দিবে না। অনেক বার বলার পরে সায়েম কে নিয়ে গ্রাম দেখতে বলে।
তাই প্রিয়া একদিন ছাগলের রাখালকে নিয়ে গ্রাম দেখতে বেয়িয়ে পরলো। অনেক দূর যাওয়ার পর মেয়েটি বলে আমার যদি একজন কাছের মানুষ থাকতো তা হলে আমি প্রতিদিন তাকে নিয়ে গুরতে বের হতাম। আমার গুরতে ভালো লাগে। আমার কোনো বন্ধু নাই।
সায়েম তখন তাকে বল্লো আমাকে তোমার বন্ধু বানাবে। সায়েম অনেক বয় পেয়ে ছিলো যদি মেয়েটি তাকে কিছু বলে তাই।
সায়েমের কথা শুনে প্রিয়া কিছু বল্লো না। এভাবে কিছু দুর যাওয়া পর প্রিয়ার পায়ের একটি কাটা গাতলো। মেয়েটি সাথে সাথে বসে পরলো। হাটতে পারলো না। অনেক ব্যাথা সায়েম তখন কি করবে বুঝতে পারছিলো না। সব চিন্তা বাদ দিয়ে সায়েম তার পায়ে হাত দিয়ে কাটা তুলে নিলো তখন প্রিয়া সায়েম কে জরিয়ে দরছিলো যেতে ব্যাথাকম লাগে। সায়েমের অনেক ভালো লেগেছে।
কাটা তোলার পর রক্ত পরছিলো।সায়েম তখন নিজের গেঞ্জি ছিরে তা বেদে দের। এর পর সায়েমের কাধে বর দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
বাড়িতে আসার পর সায়ের তার জন্য অনেক চিন্তার পরে গেলো। তার কিছু ভালো লাগে না।পরের দিন সকালে গুম থেকে উঠে চলে গেলো মালিকের ঘরে দিকে। মালিক তাকে জিজ্ঞেস করলো সায়েম সকালে তুই এখানে কেনো ছাগল নিয়ে মাঠে যাও নায়।
সায়েম বল্লো যাবো একটু পর। আজ আমার শরীলটা ভালো লাগছে না। মালিক তখন তাকে আজ মাঠে যেতে নিষেধ করে।
এভাবে চলতে থাকে সায়েমের দিন। সে আগের মত কাজ তার ভালো লাগে না।
প্রিয়া এখন প্রতিদিন সায়েম কে নিয়ে বিকালে গুরতে বের হয়। সায়েম একদিন প্রিয়াকে বয়ে বয়ে জিজ্ঞেস করলো প্রিয়া আমি তোমাকে একদিন বলেছিলাম আমাকে বন্ধু বানাবে।আমি কি তোমার গুরার সাথি হতে পারি। তুমি তো কিছু বলে না। প্রিয়া তখনো তাকে কিছু না বলে বাড়িতে ফিরে আসলো।
সায়েমের বাড়িতে তার মা ছাড়া কেউ না। সায়েম খবর পেলো তার মা খুব অসুস্থ। তাই সে তার মালিক জে বলো ১০ দিনের ছুটি নিলো। তাই সে তারাহুরা করে বাড়িতে চলে গেলে।বাড়িতে এসে সায়েম তার মা কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো।
প্রিয়া প্রতিদিনের মত গুরতে যাবে তাই সায়েম কে নিতে তার ঘরে এলো। এসে দেখে সায়েম ঘরে তালা দেওয়া। তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে তখন সুনতে পেলো সায়েম মা অসুস্থ তাই সে বাড়িতে গেছে আসবে ১০ দিন পর।
আসলে মানুষের শূন্যতা মানুষের ভালোবাসতে শিখায়।
প্রিয়ার এখন ভালো লাগে না সায়েম জন্য চিন্তা হয়। তার কথা বলা তাকে ভাবায়।এভাবে ভাবতে লাগলো।
১০ দিন পর সায়েম ফিরে এলো। প্রিয়া তখন তার কাছে গিয়ে বলে তুমি আমাকে বলে যাও নায় কেনো। তোমার জন্য আমার খুব খারাপ লেগেছে।চলো আজকে এক জাগায় তোমাকে নিয়ে যাবো।
এভাবে তাদের ঘোরাঘুরি চলতে ছিলো। প্রিয়ার বয়স ১৭ বছরে পরছে। এখন প্রিয়ার বাবা তাকে পড়াশোনা জন্য বাহিরের দেশে পাঠাবে। তাই প্রিয়াকে ডেকে বলেছে কিছু দিনের ভিতরে তোমার ভিসা আসবে। তুমি রেডি থাইকো। এ কথা শুনে প্রিয়ার মনটা খারাপ হয়ে গেছো। আমি তো সায়েম কে ভালো বেসে ফেলেছি তাকে ছাড়া কেমনে থাকবো। তাকে ছেরে কেমনে যাবো।
সায়েম আসলো বিকালে গুরতে যাবে তাই প্রিয়া বল্লো আজ যাবো না মনটা ভালো নেই।তুমি ঘরে যাও।
পরে দিন সায়েমকে প্রিয়া বল্লো তোমার কি আমার কথা মনে পরবে যখন আমি দেশে থাকবো না। এই কথা শুনে সায়েম জিজ্ঞেস করলো তুমি কই যাবা। প্রিয়া তখন সব কিছু খুলে বল্লো। তার কথা শুনে সায়েমের মনটা ভেঙে গেলো।চুপ হলে গেছো সে কিছুই ভাবতে পারছিলো না। শত কষ্ট বুকে নিয়ে তারা বাড়িতে ফিরে এলো।
কিছু দিন পরে ভিসা আসলো। প্রিয়া আগামিকাল চলে যাবে। দুইজন ই কান্না করছিলো যার যার জাগায় থেকে কি করবে। তখন রাত ২ টা বাজে প্রিয়া সায়েমের কাছে ছুটে গেলো। সায়েম প্রিয়া কথা শুনে বল্লো আসছো কেনো তুমি তো সকালে চলে যাবে। তারপর আমাকে ভুলে যাবে। ঘরে ফিরে যাও।
প্রিয়া তখন সায়েমকে বল্লো আমি ৫ বছরের জন্য যাচ্ছি। আবার ফিরে আসবো তুমি আমার অপেক্ষা থেকো। আমি অবসই তোমার জন্য আসবো। এই বলে সায়েম হাতে একটি কাগজ দিয়ে ঘরে ফিরে গেলো প্রিয়া।
সকালে প্রিয়া যাওয়া সময় সায়েম দেখতে পেলো না। সায়েম ঘরে কান্না করতে ছিলো। আর তখন প্রিয়ার দেওয়া কাগজটা খুলে দেখলো তাতে খেলা আছে
তুমি আমার চিরকালের বন্ধু অপেক্ষা থেকো আমি ফিরে আসবো। I Love U।