কাঠুরের প্রেম

 




প্রেম ভালোবাসা এমন একটা পাওয়া যা কোনো না কোনো ভাবে জীবনের উপর প্রভাব পরে। সেটা হতে পারে গরিব কিংবা ধনী। ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না। ঠিক যেমনি একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। 

সুমন নামে একটি ছেলে প্রতিদিন কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে। তার পরিবারের ছিলো মা-বাবা আর ছোট দুইটি বোন।

প্রতিদিনের মত একটি সুমন কাঠ কাটার জন্য বনের ভিতরে চলে গেলো।কাঠ কাটা যখন শেষের দিকে তখন একটি চিৎকার শুনতে পায় সুমন। সে চিন্তা করলো কিসের চিৎকার আসে বনের ভিতরে। অনেক খোজাখুজি করার পর দেখলো বনে একটি অসম্ভব সুন্দর একটি মেয়ে। মেয়েটি একটি সাপ দেখে বয় পেয়ে চিৎকার করছে। 

সুমন তার কাছে ছুটে গেলো। মেয়ে টি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো। আপনি এই বনে আসলেন কি ভাবে? মেয়ে টি উত্তর দিলো। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বনভোজন করার জন্য বনে আসছি এবং আমি আমার বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছি। আমার কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই।এখন কি করবো কোথায় যাবো বুঝতেছি না। 

সুমন তার সব কথা শোনার পর তাকে বল্লো। আপনি এখানে একা আর এখানে যদি আপনি থাকেন তার হলে বাঘের বয় আছে। তার চেয়ে একটা কাজ করতে পারেন। আপনি আমার সাথে আমার ঘরে চলুন।পরবর্তীতে আমি আপনার বন্ধুদের খোঁজে দিতে সাহায্য করবো। 

মেয়ে টি চিন্তা করলো এই লোকটি খারাপ নয় তো। আমার নিয়ে খারাপ কিছু করবে না। আর আমি কোথায় বা যাবো। এখানে থাকলে বাঘের বয় আছে। তার চেয়ে তার সাথে যাওয়া আমার জন্য এখন ভালো হবে। 

মেয়ে সুমনকে বল্লো আচ্ছা চলুন।

সুমন মেয়ে টিকে নিয়ে তার বাড়িতে রওনা হলো। তার সাথে ছিলো তার কাটা কাঠ গুলো।

বাড়িতে যাওয়ার পর তো তার মা বাবা ভাই বোন দেখে হতবাক হলো এত সুন্দর একটি মেয়ে কোথা থেকে নিয়ে আসলো। 

সুমনে মা সুমন কে বল্লো বাবা তুই গেলি বনে কাঠ কাটতে মেয়ে পেলি কোথায়।তারপর সুমন সব কিছু খুলে বল্লো। 

পরে দিন মেয়ে টি বন্ধুদের খোজ করতে দুইজনই বনে ভিতর রওনা হলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর মেয়েটির বন্ধুদের খুঁজে পেলাম না। তারপরে আজকের দিনের মতন তারা বাড়িতে ফিরে এলো। 

পরের দিন আবার তারা মেয়েটির বন্ধুদের খোঁজ করার জন্য বনের আশেপাশে খুঁজে বেড়াতে লাগলো কিন্তু কোন কিছুই খুঁজে পেলাম না। 

এভাবে অনেকদিন হয়ে গেল। মেয়েটি বড় অসহায় কি করবে এখন। মেয়েটি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না কোথায় যাবে। মেয়েটির বাবা ঢাকায় চাকরি করে। ঢাকা থেকে তারা বনভোজনের জন্য বনে আসছিল। 

মেয়ে টি কে নিয়ে সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে মেয়েটি এক সময় সুমনের প্রেমে পড়ে যায়। সুমন কে ভালোবেসে ফেলে। 

কিছু দিন পরে সুমন সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটিকে ঢাকাতে তার বাবার কাছে দিয়ে আসবো। 

এর ভিতরে মেয়ে টি সুমনকে অনেক ভালোবেসে ফেলে। সে কিছুতে তাকে ছেড়ে যেতে চায় না ঢাকাতে। এতো খোলামেলা পরিবেশ মনোরম বাতাস চারিদিকে খোলা আকাশ গাছপালা গেরা একটি গ্রাম।তার অনেক ভালো লেগেছে। তাই সুমনকে ছেড়ে সে ঢাকায় যেতে পারছিল না। 

যাই হোক, সুমনের পরিবার মেয়ে টিকে আপন ভেবে ছিলো। কি আর করার। অবশেষে মেয়ে টিকে নিয়ে সুমন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।

ঢাকার আসার পর মেয়েটিকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিলাম। মেয়েটি তখন কান্নায় ভেঙে পড়ছিল। 

ঢাকা থেকে আসার পর সুমনের কিছুই ভালো লাগছিল না। সে ভাবছিল আমি কি মেয়েটিকে ভালোবেসেছি। আমার এত খারাপ লাগছে কেন। আমি আসার সময় মেয়েটি অনেক কান্না করছিল মনে হয় সে আমাকে ভালবেসেছে। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url