সোনালি গল্প

 


একটি শহরে সোনালি নামে এক যুবতী বাস করত। তার ছিল স্বপ্নে ভরা হৃদয় এবং বইয়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা। শহরের লাইব্রেরিটি ছিলো তার অতি নিকটে।লাইব্রেরিটি এমন একটি জায়গা যেখানে সে গল্পে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারে, এবং যেখানে পুরানো বইয়ের  পাতার ঘ্রাণে তার মন প্রান ভরে যেতো।

এক রৌদ্রোজ্জ্বল বিকেলে, সোনালি  যখন তাকগুলি খেয়াল  করেছিল, সে লক্ষ্য করল একটি কোণার টেবিলে একটি বইয়ে মগ্ন একজন ব্যক্তি। তার নাম ফুলি , এবং সেও সাহিত্যের প্রতি সোনালি মত আবেগকে ভাগ করে নিয়েছে। তাদের চোখে চোখ পরলো, এবং একটি ভাষার সংযোগ ছিলো, একে অপরের অনেক আগে থেকেই চিনে এ ভাবে মনে হচ্ছে লো।

 তাদের দেখার দিনগুলি সপ্তাহে পরিণত হয়েছিল, এবং সোনালি এবং ফুলি নিজেদের একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলো। তারা তাদের বিকাল একটু গুড়াগুরি করছিলো কি ভাবে বই পড়লে ভালো বুঝতে পারা যায়, তাদের প্রিয় বই গুলো ভাগাভাগি এবং নতুন লেখকের বই কোন সময় পড়া যায় সে কথা বলতে ছিলো। গ্রন্থাগার একটি সেতু হয়ে ওঠে যা তাদের দুইজনার হৃদয়কে সংযুক্ত করেছিলো।

যখন তারা ঘনিষ্ঠ হয়েছিল, তারা বুঝতে পেরেছিল যে বইগুলির প্রতি তাদের ভালোবাসা একে অপরের ভাগাভাগি করে গল্প গুলো পড়বে । তাদের কথোপকথনগুলি সুলিখিত গদ্যের মতো প্রবাহিত হয়েছিল, তাদের বই পড়ার গল্প গুলো একটি নদীর মতো লাগতো।

এক সন্ধ্যায়, লাইব্রেরির সোনালি একটি বই পড়ছিলো।হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো তাদের লাইব্রেরিটি দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পারছিলো কিছু বই বিজে যাচ্ছে সোনালি এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছিলো না। যখন সে তার বান্ধবী কে ডেকে ছিলো। দুইজনে তাদের সখের গল্পের বই গুলো কোনো রকমের রক্ষা করেছিলো। তারপরও অনেক বই বৃষ্টির পানিতে বিজে গেছে।যা হোক সোনালি আর তার বান্ধবী দুইজনই খুশি ছিলো

সোনালি  চোখে আনন্দের অশ্রু ভেসে উঠল, তার হৃদয় আনন্দে গান করছে। সেই মুহূর্ত থেকে, তাদের বইয়ের  তাদের লালন করা বইয়ের পাতায় খোদাই করা রাখলো।

সোনালি আর তার বান্ধবী পাশাপাশি বই পড়ে, তাদের চিন্তা করলো তাদের গল্পের বই গুলো কি ভাবে সংরক্ষণ করা যায়,তাই তারা চিন্তা করলো নতুন একটি লাইব্রেরি তেরি করবে। তাদের এই চিন্তায় আরও দুইজন এগিয়ে এলো। তারা খুব খুশি ছিলো। তারা লোকের কাছ থেকে টাকা তুলে একটি নতুন লাইব্রেরি কাজ শুরু করলো।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে লাইব্রেরি কাজ করছিলো। এতে করে নতুন লাইব্রেরিতে পুরাতন বই গুলো রাখার জন্য আলাদা জাগায় এবং নতুন বই রাখার জন্য আলাদা জাগায় তেরি করলো।এখন তাদের আরও নতুন বই কিনতে হবে তাই তারা একটি সংগঠন তেরি করলো এবং সেখান সবই মিলে টাকা দিয়ে নতুন বই কিলনো। 

বছর পার হয়ে গেল, এবং লাইব্রেরিটি তাদের শহরে কিংবদন্তির জায়গা হয়ে উঠেছে। তাকগুলিতে কেবল বইই নয়,সোনালি এবং ফুলি চিরন্তন চিন্তা চেতনা ছিলো তাই এটি নতুন হয়েছে। তাদের গল্পটি একটি অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে, একটি অনুস্মারক যে সত্যিকারের বই ভালোবাসা একটি বইয়ের পাতায় এবং আত্মীয় আত্মার হৃদয়ে পাওয়া যায়।

এবং তাই, সেই অদ্ভুত ছোট্ট শহরে, গল্পের তাকগুলির মধ্যে বাসা বেঁধেছিল, সোনালি এবং ফুলি বই প্রেমের গল্পটি বেঁচে ছিলো একি লাইব্রেরি তেরি করার মাধ্যমে।  দুটি আত্মার একটি চিরন্তন গল্প যা তাদের বইগুলির জন্য তাদের ভাগ করা গল্পের ভালোবাসায় আবদ্ধ ছিল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url